নেত্রকোনায় বন্যায় বেহাল রাস্তা

নেত্রকোনা জেলায় টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেহাল দশা হয়েছে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কটি। বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীসহ এ পথে চলাচলকারীরা।
জেলার ২০ কিলোমিটারের এই সড়কেই একমাত্র যোগাযোগ গারো পাহাড়ি অঞ্চল কলমাকান্দার প্রায় দুই লাখ মানুষের। বন্যার পানিতে এই সড়কের বিভিন্ন অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। আবার রাস্তাটির কোনো কোনো অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
বর্তমানে কলমাকান্দা উপজেলা থেকে যাতায়াতের একমাত্র যান ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল। সড়কের এই বেহাল দশার কারণে যে কোনো সময় মোটরসাইকেল চলাচলও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সড়কের বেহাল দশার কারণে প্রায় দেড় যুগ পর কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঠাকুরাকোনা বাজার পর্যন্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ট্রলার) চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যেখানে সড়কপথে আধা ঘণ্টা সময় লাগত, সেখানে নৌপথে লাগছে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই সড়কের ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা অংশ জুড়ে রয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। সম্প্রতি পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণ ছাড়াও এ সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য বালুবাহী ট্রাক-লরি চলাচলের কারণে সড়কের উড়াদিঘি, তেঘরিয়া, হিরাকান্দা, আশারানী, পাবই, বামনী, বাহাদুরকান্দা, ডেইটাখালী নামক স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে সাতদিন ধরে যাত্রীবাহী বাসসহ সকল যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সড়কের কিছু কিছু স্থানে বালুর বস্তা ও ইট দিয়ে খানা-খন্দ ভরাট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নেত্রকোনা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম তরফদার জানান, ১০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশে ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করছেন তাঁরা।