জ্ঞান ফিরেছে তোফা-তহুরার, কাঁদছে

অস্ত্রোপচারের জন্য অচেতন করার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরেছে গাইবান্ধার জোড়া যমজ শিশু তোফা ও তহুরার। এর আগেই আলাদা করে ফেলা হয় তাদের।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় কেবিন ব্লকের নিউরো সার্জারি বিভাগের অপারেশন থিয়েটার থেকে একযোগে বেরিয়ে আসেন অস্ত্রোপচার বোর্ডের ২০ চিকিৎসক।
এ সময় তোফা-তহুরার জ্ঞান ফিরেছে উল্লেখ করে শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আশরাফুল কাজল বলেন, ‘শিশু দুটি এখন কাঁদছে।’
শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহিনূর ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সবার সহযোগিতায় এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাঁরা অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করতে পেরেছেন। তিনি ঢামেকের পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান, নিউরো সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ, শিশু সার্জারি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকেও সঠিক সংবাদ প্রচারের জন্য ধন্যবাদ জানান।
গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে এই চিকিৎসক সবার উদ্দেশে অনুরোধ করেন, যেন এখন কেউ শিশুদুটির পাশে না যায়। কারণ তাতে সংক্রমণের ভয় রয়েছে।
তোফা-তহুরা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছে জানিয়ে সাহিনূর ইসলাম বলেন, স্পাইনাল কর্ডে সংক্রমণ নিয়ে ভয় ছিল যে সেখানে কোনো ক্ষত হতে পারে, সেটি তাঁরা কাটিয়ে উঠেছেন। এ ছাড়া পায়ুপথে ক্ষত ছিল সেটিও পূরণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ সফল অপারেশন করতে পেরেছেন বলেও আশা করছেন তিনি।
শিশু দুটিকে প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করা হবে জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, তাদের আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া ছয় মাস পরে আবারও একটি অস্ত্রোপচার লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।
তোফা ও তহুরা হাত-পা-মাথা সবকিছুই আলাদা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে কিন্তু পায়ুপথ ছিল একটি। বাংলাদেশে এই প্রথম এ ধরনের অস্ত্রোপচার হলো।