নদীতে পড়ে নিখোঁজ, ১৮ দিন পর মায়ের কোলে

মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ১৮ দিন পর প্রতিবন্ধী শিশু সাবিহাকে (১০) ফিরে পেয়েছেন তার বাবা-মা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ থানায় সাবিহাকে তার বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মাহফুজুর রহমান।
সাবিহার বাবা মিলন খাঁ একজন রিক্শাচালক। মা হাজেরা খাতুন পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
সাবিহার বাবা মিলন খাঁর বরাত দিয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, গত ১১ জুলাই একমাত্র মেয়ে সাবিহাকে নিয়ে নবীনগরের গাজীরচট এলাকা থেকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাবুগ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে বাসে ওঠেন মিলন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাস থেকে নেমে মানিকগঞ্জের তরা ব্রিজের নিচে কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে যান তাঁরা।
মানসিক প্রতিবন্ধী সাবিহাকে নদীর পাড়ে রেখে মিলন একটু দূরে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখতে পান সাবিহা নদীতে পড়ে গেছে। রাতভর খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে না পেয়ে বাবা মিলন গাজীরচট এলাকায় ফিরে যান।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের এসপি মাহফুজুর রহমান জানান, নিখোঁজের দিন রাত ৮টার দিকে কালীগঙ্গা নদীর দেড় নটিক্যাল ভাটিতে মফেল বিশ্বাস নামের একজন স্থানীয় জেলে সাবিহাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করেন। ঘটনাটি নজরে এলে মফেলের নিজ বাড়িতে রেখে সাবিহাকে লালন-পালনের পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে মেয়েটির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মানিকগঞ্জে ক্যাবল অপারেটরদের স্থানীয় চ্যানেলে প্রচার করেন বলে জানান মাহফুজুর রহমান।
চ্যানেলে প্রচারিত বিজ্ঞাপন থেকে সাবিহার খবর পান তার বাবা-মা। শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে যান তাঁরা।
এদিকে নিখোঁজের ১৮ দিন পর মেয়েকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সাবিহার বাবা মিলন ও মা হাজেরা। মেয়েকে ফিরে পাওয়ায় তাঁরা এসপি মাহফুজুর রহমান, ওসি হাবিবুল্লাহ সরকারসহ গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।