রায়ের মূল কপি সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের মূল কপি বা বিশেষ ক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপি সংরক্ষণ করা হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় মহাফেজখানায় (আর্কাইভ) এগুলো রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি সভাপতিত্ব করেন।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটির বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষে রায়ের মূল কপি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংগ্রহপূর্বক জাতীয় আর্কাইভসে সংরক্ষণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য মনরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, বৈঠকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে রায়ের সব কপি জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেসব রায় এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে বা ভবিষ্যতে হবে, সেগুলোও পর্যায়ক্রমে সংরক্ষণ করা হবে।
বৈঠকে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য একটি সমন্বিত যুগোপযোগী প্রবিধানমালা দ্রুত প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। এ ছাড়া দেশের যেসব অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের জন্য কোরজোন ও বাফারজোন চিহ্নিত করার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বৈঠকে শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের প্রবেশমুখে অবস্থিত ভ্রাম্যমাণ দোকান এবং অন্যান্য স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এ ছাড়া সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের গবেষণা কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটির সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাগুফতা ইয়াসমিন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং পঙ্কজ নাথ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বৈঠকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।