চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলায় সবচেয়ে বড় মোকাম সরোজগঞ্জ বাজারে মে দিবস পালন না হওয়া এবং সাপ্তাহিক ছুটি না থাকায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। 

শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি, বছরের দুটি ঈদ ছাড়া আর কোনো ছুটি নেই তাদের। সাপ্তাহিক ছুটি ও মে দিবসের ছুটিও নেই।

সরোজগঞ্জ বাজারে ৫০টি রাইস মিল ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করেন। 

সপ্তাহে প্রতি সোমবার ও শুক্রবার সরোজগঞ্জ বাজারে হাট বসে। আশপাশের হাটবাজারগুলোতে সাপ্তাহিক ছুটির ব্যবস্থা থাকলেও সরোজগঞ্জ বাজারে নেই। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক-কর্মচারীরা ছুটি থেকে বঞ্চিত। 

শ্রমিক নেতা আশাদুল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ছুটি থেকে বঞ্চিত। বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী নেতাদের জানালেও কোনো লাভ হয়নি। শ্রমিকরা সপ্তাহের একদিন ছুটির দাবি করেছেন। 

কুতুবপুর ইউপির চেয়ারম্যান আলী আহমেদ হাসানুজ্জামান মানিক জানান, শ্রমিক-কর্মচারীদের সমস্যা সমাধানে বাজার কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করা হবে।

সরোজগঞ্জ বাজার উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মো. আবদুল্লাহ শেখ জানান,  শ্রমিকদের অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, বাজারটা কৃষিনির্ভর বাজার। সাপ্তাহিক ছুটি না থাকলেও প্রতি মাসে শ্রমিকদের দুই দিন প্রয়োজনীয় ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে। ছুটির দিনগুলোতে বেতন-ভাতার অর্থ কাটা হয় না।

চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি পালনের বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।