পুনঃপরীক্ষায় পচা গম পায়নি মন্ত্রণালয়

ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গমের পুনঃপরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে খাদ্য মন্ত্রলালয়। প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার আমদানি করা গম নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
তাতে বলা হয়েছে, ‘ব্রাজিল থেকে আমদানীকৃত গমের পুনঃপরীক্ষা প্রতিবেদন অনুযায়ী পচা কিংবা মানুষের খাবার অনুপোযোগী কোনো গম পাওয়া যায়নি। চুক্তিতে বর্ণিত নির্দেশ মোতাবেক এ গম পাওয়া গেছে।’
সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আনা গমের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘দেখতে খারাপ’ এসব গম খাবারের অনুপযোগী। গমের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
তবে গত শনিবার (২১ জুন) সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরে নিম্নমানের গম আমদানির বিষয়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন।
এরপরই গত সোমবার পচা গম আমদানির হোতাদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানায় বিএনপি। পাশাপাশি নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের পদত্যাগও দাবি করে দলটি।
আজ বুধবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কাউসার আহাম্মদ গমের পুনঃপরীক্ষার প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় গম নিয়ে বিরূপ সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সারা দেশ থেকে সিলগালা করা গমের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। অতঃপর ওই গম ল্যাবরেটরিতে পুনরায় টেস্ট করানো হয়।
‘পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গম ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কোনো দেশের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করে গম আমদানি করা হয়নি।’
‘সরকারি বিধান অনুযায়ী ইসরাইল ব্যতীত যে কোনো দেশ থেকে দরদাতা কর্তৃক গম সরবরাহ করার সুযোগ রয়েছে’ উল্লেখ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘গম বন্দরে পৌঁছার পর চুক্তির শর্ত মোতাবেক ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করে গ্রহণযোগ্য মাত্রার মধ্যে থাকায় তা গ্রহণ করা হয়। তা ছাড়া টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নির্দেশ মোতাবেক গ্রহণযোগ্য মাত্রার মধ্যে থাকায় তা গ্রহণ করা হয়েছে।’