হাওরবাসীকে বাঁচানোর দাবিতে নেত্রকোনায় মানববন্ধন

নেত্রকোনা হাওর বাঁচাও এই স্লোগানে মানববন্ধন করেছে হাওরবাসী। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খালিয়াজুরী উপজেলাকে ‘দুর্গত এলাকা ঘোষণা’ এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও মৎস্যজীবী পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে খালিয়াজুরীবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কৃষকনেতা ব্রজ গোপাল সরকার, খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সিদ্দিকী সোয়েব, নেত্রকোনা পৌর কাউন্সিলর সারোয়ার জাহান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা চৌধুরী, ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রহমত আলী, সাংবাদিক সঞ্জয় সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ১০টি দফা দেন। সেগুলো হলো খালিয়াজুরীকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা, আগামী বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ওএমএসের মাধ্যমে প্রতিটি ওয়ার্ডে চাল ও আটা বিক্রি, সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ প্রদান, ব্যাংক ঋণ ও এনজিও ঋণের কার্যক্রম স্থগিত করা, বিনা মূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক কৃষকদের প্রদান, হাওর অঞ্চলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ ও শতভাগ উপবৃত্তি চালু করা, হাওরে বিল, খাল, নদীতে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের অবাধে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া, বাজার ঘাটে টোল ফ্রি কমানো, ধনো নদীর উৎস স্থান থেকে মেঘনা নদীর মোহনা পর্যন্ত খাল করে বাঁধ দিতে হবে, খালিয়াজুরি সব নদী-খাল-বিলকে দখলমুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া বাঁধ নির্মাণে ব্যর্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে খালিয়াজুরীবাসী। এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী খালিয়াজুরী পরিদর্শনে না যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
এ দিকে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চলকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করে আগামী বছর ফসল ঘরে না ওঠা পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন, বন্যা প্রতিরোধে নদী খননসহ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন নেতারা।