মুফতি হান্নান ও বিপুলের স্বজনদের ডাকা হয়েছে

সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর সহযোগী বিপুলের স্বজনদের ডাকা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুজনের স্বজনদের সাক্ষাতের বার্তা পাঠিয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
জেল সুপার মিজানুর এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়ে বলেন, দুপুর ২টা পর্যন্ত দুজনের কোনো স্বজন সাক্ষাৎ করতে কারাগারে আসেনি।
এদিকে মুফতি হান্নানের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করার পর যেকোনো সময় তাঁর ফাঁসির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হতে পারে। এ জন্য কাশিমপুর কারাগারে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদ গতকাল সোমাবার এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মুফতি হান্নান এখানের কারাগারে আছেন। তাই আমাদের বাড়তি নিরাপত্তা এমনিতেই রয়েছে। কয়েকদিন আগে তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। আমরা তাঁদের ধরেছিও। তাঁর রায় কখন কার্যকর হবে এটা কারা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। আমরা শুধু নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি।’
হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি মুফতি হান্নান ও বিপুল কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। অপর আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটের হজরত শাহজালালের (রহ.) মাজারে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হয়।
ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত পাঁচ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এর পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি ২০০৯ সালে আসামিরা জেল আপিলও করেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ১৪ জুন রায় হাতে পাওয়ার পর ১৪ জুলাই আপিল করেন দুই আসামি হান্নান ও বিপুল। আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। ১৯ মার্চ রোববার রিভিউ খারিজ হয়ে যায়। পরে রিভিউ খারিজের রায় গত ২১ মার্চ প্রকাশিত হয়। এর পর কাশিমপুর ও সিলেট কারাগারে রিভিউ আবেদন খারিজের রায় তিন আসামিকে পড়ে শোনানো হয়।