ঝালকাঠিতে ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ঝালকাঠিতে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতান হোসেন খানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ব্যবসায়ী উত্তম দাস বাদী হয়ে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এ মামলা করেন।
আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন ঝালকাঠির পালবাড়ির বাসিন্দা বাশার, কীর্তিপাশা ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস শুক্কুর মোল্লার ছেলে র্যাভেন মোল্লা, সিটিপার্ক এলাকার বাসিন্দা মিলন ওরফে চরের মিলন, রুনসী গ্রামের বাবুল ও স্বাধীন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সুলতান হোসেন খান ও তাঁর বাহিনীরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে থাকে। এর প্রতিবাদ করায় গত ২৭ মার্চ রাতে ঝালকাঠি কীর্তিপাশা বাজারের ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের করে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান ও তাঁর লোকজন। উত্তম দাসের চিৎকার শুনে বাজারের পাশেই তাঁর বাড়ি থেকে বোন রিনা দাস ও ভাইয়ের স্ত্রী অঞ্জনা দাস ছুটে আসেন। তাঁদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়।
একই রাতে স্থানীয় গোবিন্দ ধবল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ মিয়াকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় তাঁরা। আহতদের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তাঁর গাড়িতে করে ঝালকাঠি থানায় নিয়ে আসেন। থানায় আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিক্ষক আবদুল লতিফ মিয়া ও ব্যবসায়ী উত্তম দাসকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের ভয়ে থানায় মামলা করতে পারেননি ব্যবসায়ী উত্তম দাস। আজ মঙ্গলবার তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলাটি সদর থানায় এজাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহে আলম জানান, মামলার আদেশের কপি পুলিশের হাতে এসে পৌঁছায়নি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুলতান হোসেন খান অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ী উত্তম দাসসহ কয়েকজন মিলে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। এ ঘটনায় থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।