ফরিদপুরে দুর্ঘটনায় নিহত আরেকজনের পরিচয় মিলল

ফরিদপুরের নগরকান্দায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে গ্যাস সিলিন্ডারবাহী কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১৩ জনের মধ্যে আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় দাফনের ঠিক আগ মুহূর্তে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
লাশটি মনির শিকদার (২৮) নামের এক যুবকের। তার বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মটবাড়ী গ্রামে।
নিহতের বাবা হাফিজার শিকদার জানান, মনির ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। ছেলেকে বাসে তিনি নিজেই উঠিয়ে দিতে গিয়েছিলেন। পরে আজ ছেলের প্যান্টের হুক ও শরীরের গঠন দেখে চিনতে পেরেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার নিহত ছয়জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদরের চিকিৎসক গোলাম রসুল সিকদার (৫৫), কাভার্ড ভ্যানের চালক নড়াইলের কালিয়া এলাকার মো. আসাদুজ্জামান (৪৫), হানিফ পরিবহনের চালক নড়াইলের বাসগ্রাম এলাকার হেমায়েত হোসেন (৪০), বাসচালকের সহকারী নড়াইলের ঘোবরাগ্রাম এলাকার মো. জুয়েল (২০), বাসযাত্রী নড়াইলের কাগজীপাড়া এলাকার শাহজাহান মোল্লা (৩৫) ও নড়াইলের কালিয়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৪০)।
বাকি ছয়জনের পরিচয় না পাওয়ায় তাঁদের লাশ আজ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলা প্রশাসক বেগম উম্মে সালমা তানজিয়া জানান, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা লাশগুলো আজ সন্ধ্যায় ফরিদপুরের আলীপুর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। নিহত ১৩ জনের মধ্যে সাতজনের পরিচয় মিলেছে। ওই সাতজনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নগরকান্দার গজারিয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৩ জন নিহত ও প্রায় ৩৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় পর শনিবার রাতে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন থেকে একটি ‘সেল’ গঠন করা হয়। দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের ওই সেলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্যের এতটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় বাস ও কর্ভাডভ্যানের চালকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে পুলিশ।