মৌলভীবাজারে বিনামূল্যে চক্ষুসেবা শুরু

মৌলভীবাজার পৌর এলাকার পশ্চিম ধরকাপনে মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির শুরু হয়েছে। এই শিবিরে বিনামূল্যে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষা শেষে চোখের ছানিপড়া ১৯৫ জন ও ৫১ জন নেত্রনালি (ডিনিআর) রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়। এ ছাড়া দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চশমা সরবরাহ করা হবে।
বুধবার সকাল ১০টায় এডুকেশন অ্যান্ড কেয়ার প্রজেক্টের সহযোগিতায় চতুর্থবারের মতো মৌলভীবাজারে বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ফ্রি চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই চক্ষু শিবিরের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল।
মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সৈয়দ জুবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্য দেন পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশাহিদ আহমদ, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল ও আবদুল হামিদ মাহবুব, মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি ডা. ছাদিক আহমদ, ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন।
ট্রাস্ট্রের নির্বাহী পরিচালক এস এম উমেদ আলীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার নজরুল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মো. মুহিবুর রহমান, মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুহিব, বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ আছাদ আলী।
বক্তারা বলেন, সমাজে অসহায় ও আর্তপীড়িত মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্যে পরম শান্তি রয়েছে। সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসতে হলে তাঁর সৃষ্টি জীবকে ভালোবাসতে হবে। আর মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। তাই মানুষের সেবার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। এলাকার অনেক অসহায় ও দরিদ্র মানুষ অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে না পেরে নানা রোগে ভুগে থাকে। আর চোখ হচ্ছে মানুষের অমূল্য সম্পদ। তাই চোখের যত্ন নিতে হবে। সর্বোপরি সমাজের অবহেলিত মানুষের কল্যাণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
এর আগে ২০১৪ সালে চক্ষু শিবিরে ৯০ জন, ২০১৫ সালে ১১৭ জন এবং ২০১৬ সালে ১২০ জন ছানিপড়া রোগীকে অস্ত্রোপচার শেষে চোখে লেন্স সংযোজন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর ১৯৫ জন ছানিপড়া ও ৫১ জন নেত্রনালি (ডিসিআর) রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছানিপড়া রোগীদের বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হবে। চোখের নেত্রনালী (ডিসিআর) অস্ত্রোপচার ১৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা শেষে চশমা ও ওষুধ প্রদানসহ মোট ১ হাজার ৪৫০ জনকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে চক্ষু শিবিরের কার্যক্রম আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।