প্রশাসনের আশ্বাসে মৌলভীবাজারে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে মৌলভীবাজার জেলায় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গলের বিটিআরআই গেস্টহাউসে প্রশাসন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বিজিবি ও পরিবহন প্রতিনিধিদের যৌথ বৈঠকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মৌলভীবাজার পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব জানান, জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেওয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সরাইলের রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার আবুল হাসনাত, পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, মৌলভীবাজার পৌর মেয়র ফজলুল রহমান, সিলেট বিভাগীয় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক, উপজেলা সভাপতি ময়না মিয়াসহ, শ্রমিক নেতা, প্রশাসন ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ক্লোজ করা হয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে বিজিবির চার সদস্যের কমিটি কাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে গাড়ি রাখা (পার্কিং) নিয়ে এক বিজিবি সদস্যের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিক ওই বিজিবি সদস্যকে লাঞ্ছিত করেন। এ খবর বিজিবির শ্রীমঙ্গল সদর দপ্তরে পৌঁছালে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে মারধর করেন।
পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবির সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রায় ১০০ গাড়ি ও ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন রাতে ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী চত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান এবং ধর্মঘটের ডাক দেন। ধর্মঘটের ফলে গতকাল শনিবার মৌলভীবাজার থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। বন্ধ ছিল সব ধরনের যান চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়ের সাধারণ মানুষ ও পর্যটকরা।