‘আমরা বাপ-ছেলে পথে বসে গেলাম’

‘আমরা বাপ-ছেলে পথে বসে গেলাম। আগুন আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিল। ব্যাংকের লোন (ঋণ), পাওনাদারের পাওনার টাকা, মায়ের চিকিৎসা কীভাবে করব, আল্লাহ জানে!’
কাঁদতে কাঁদতে এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন ফয়েজ আলী (২৫)। তিনি রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে পুড়ে যাওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটের একটি দোকান মালিকের ছেলে।
গতকাল দিবাগত রাত থেকে মার্কেটটিতে আগুন ধরে। এতে পুড়ে গেছে শত শত দোকান। এ ছাড়া আগুনে মার্কেট ভবনের একাংশ এরই মধ্যে ধসে পড়েছে।
ফয়েজ এনটিভি অনলাইনকে জানান, তাঁদের দোকানটির নাম ‘লেডিস গার্মেন্টস’, যেখান নারীদের শাড়ি, থ্রিপিস ইত্যাদি বিক্রি হতো। তাঁর বাবা মো. হাসান মিয়া ও তিনি মিলে অনেক কষ্টে দোকানটি দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু আজ আগুন তাঁদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।
ফয়েজ আলী জানান, তাঁদের দোকানের ভেতর ৮ থেকে ১০ লাখ নগদ টাকা ছিল। পাঁচ হাজার ডলারও ছিল। সেই ডলার নিয়ে ৬ জানুয়ারি তাঁর বাবার চীনে যাওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া আগুনে তাঁর বাবার পাসপোর্টসহ অনেক জরুরি কাগজপত্র পুড়ে গেছে।
‘আমাদের ১২ বছরের কষ্টে অর্জিত সবকিছু আজ শেষ হয়ে গেল’, বলেন ফয়েজ।
রাত সোয়া ৩টার দিকে আগুন ধরার খবর পেয়ে বাসা থেকে মার্কেটে যান ফয়েজ; কিন্তু এর পর অনেক চেষ্টা করেও ভেতরে ঢুকতে পারেননি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবক ফয়েজ আলী পাগলপ্রায় হয়ে জ্বলন্ত দোকানে ছুটে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে জোর করে আটকে রাখেন।