রাজধানীতে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান শুরু, গোলাগুলির শব্দ

রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকার আশকোনা হাজি ক্যাম্পসংলগ্ন ‘জঙ্গি আস্তানা’য় পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে অভিযান শুরু হয় বলে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. ইউসুফ আলী।
এদিকে অভিযান শুরুর পর বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। সাড়ে ১২টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে বিস্ফোরণের তীব্র দুটি শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। বিস্ফোরণ দুটি গ্রেনেডের বলে ধারণা করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের পর ১২টা ৩২ মিনিটে ওই বাড়ি থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স বের হতে দেখা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযান শুরুর পর পরই জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেডে পুলিশ পরিদর্শক শফি আহমেদ আহত হন। ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অ্যাম্বুলেন্স বের হয়ে যাওয়ার পর ১২টা ৩৫ মিনিটে ওই বাড়িতে আবারও গুলির শব্দ শোনা যায়। ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই বাড়ি থেকে গ্যাসের ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। ১২টা ৫০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওই বাড়িটি থেকে ঝাঁঝালো গন্ধযুক্ত গ্যাসের ধোঁয়া বের হয়ে আসছিল।
এদিকে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দের পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আশকোনার হাজি ক্যাম্পসংলগ্ন আল বাসিত জামে মসজিদের পাশের বাড়িটি গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই ঘিরে রেখেছিল পুলিশ।
সকালে পুলিশ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়িটি ঘিরে রাখার একপর্যায়ে সাড়ে ৯টার দিকে ওই বাড়ি থেকে চারজন আত্মসমর্পণ করে। তারা হলো ঢাকার মিরপুরে নিহত জঙ্গি মেজর জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নেসা ও জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা। তাঁদের দুজনের সঙ্গে দুই মেয়ে শিশু রয়েছে। উদ্ধারের পর চারজনকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটি), গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিশেষায়িত দল সোয়াত এখন পর্যন্ত ওই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। সকালে চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়নি এ কারণে যে, বাড়িটির পাশেই উইনস্টোন গ্রামার স্কুল নামে একটি বিদ্যালয় রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই বাড়ির মালিক কাতার প্রবাসী জামিল উদ্দিন। ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক জানান, কিছুদিন আগে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ী পরিচয়ে ওই বাড়ির প্রথম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন।