প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেছেন, অনেক উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। চীনের অনেক অঞ্চলেও লোডশেডিং হয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রায় শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। এটি আমাদের সরকারের বড় সাফল্য। এ সময় তিনি বহুল আলোচিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম আরো কিছুদিন চালিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দেন।

আজ মঙ্গলবার ‘রেন্টাল-কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এসব কথা বলেন। জুম অনলাইন প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

বাংলাদেশ এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের সাবেক পরিচালক ড. মোস্তফা কামাল মুজেরি। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান, সিপিডির পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও বিআইপিপিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট নাভিদুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার ও বিআইপিপিএর প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক মো. শামীম জাহাঙ্গীর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করার জন্যই রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল সরকারের একটি সাহসী সিদ্ধান্ত। ওই সময় রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পেরেছি।