লকডাউনেও ব্যস্ত সময় কাটছে তথ্যমন্ত্রীর

করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে সবাই যখন ঘরে, সেই দুর্যোগেও ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মন্ত্রণালয়ের চলমান কাজ, এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি, গণমাধ্যমে ব্রিফিং, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নসহ নানা কাজে প্রতিটি দিনই ব্যস্ততার মধ্যে কাটছে তথ্যমন্ত্রীর।
মিন্টোরোডের সরকারি বাসভবনে নেতাকর্মীদের ভিড় আগের মতো না থাকলেও সকালে মন্ত্রণালয়, বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন এই নেতা। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী জানালেন, সকালে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত থাকেন আর বিকেলে যান ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সারা দেশের নেতা-কর্মীদের খোঁজ খবর নেন। কথা বলেন ত্রাণ তৎপরতা নিয়েও। এ ছাড়া প্রতিদিন বিএনপিসহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিভিন্ন অভিযোগের জবাবও দিতে হচ্ছে তাকে। কথা বলেন গণমাধ্যমের সঙ্গেও। যোগাযোগ রাখেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী দিক নির্দেশনা নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান এই মন্ত্রী।
লকডাউনের মধ্যে চট্টগ্রামে নির্বাচনী এলাকাতে যান তথ্যমন্ত্রী। সেখানে ত্রাণ তৎপরতাসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে তিনি খোঁজ রাখেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপকভাবে ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছি এবং এখনো তা অব্যাহত আছে। কয়েকবার নির্বাচনী এলাকায় ও চট্টগ্রামে গিয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামে প্রশাসনের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত খোঁজ-খবরও রাখছি।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় সাংবাদিকদের নিয়মিত খোঁজ খবরও রাখেন ড. হাছান মাহমুদ। ঘরে বসেই বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অলাপ-আলোচনা করেন। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাংবাদিকদের কিছু আচার অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাসাতেই নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে শুধু বিটিভিতে কথা বলছি। বিটিভি থেকেই আমার দেওয়া তথ্য সবাই নিচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের খবর পড়ার কথাও জানালেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যস্ততার ফাঁকে কিছু অবসর পেলে বই পড়ি। আমার ইতিহাস আর ঐতিহাসিক বিষয় জানার খুব আগ্রহ। তাই প্রতিদিন সময় করে এসব বই পড়ি। ইন্টারনেটেও এ সংক্রান্ত নিবন্ধ এবং ডকুমেন্টরি দেখি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাতে ঘুমানোর আগে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফলো করি। কেউ কোন ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা লক্ষ করি। এ ছাড়া রোজার মাস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি বাড়তি ইবাদত করি। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটু-আধটু শারীরিক ব্যায়াম করার কথাও জানালেন মন্ত্রী।
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই দুর্যোগকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও পরীক্ষিত নেতৃত্বে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই।