মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক, আশ্বাস পায়নি রোহিঙ্গারা

কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধির সঙ্গে রোহিঙ্গাদের দ্বিতীয় দফার আলোচনা। এ সময় রোহিঙ্গারা তাদের নাগরিকত্ব, জাতিসত্তার স্বীকৃতি, নিরাপত্তা এবং ভিটেমাটি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করে। কিন্তু প্রতিনিধি দল এসব দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস দেয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার ঘণ্টাব্যাপী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এই আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত ছাড়াই আলোচনা শেষে মিয়ানমার প্রতিনিধিদল বিকেলে কক্সবাজার ত্যাগ করে।
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং মধুরছড়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা শেষে প্রতিনিধিদলের নেতা মিয়ানমার সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক চ্যান আইয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এটি কোনো রাজনৈতিক সংলাপ নয়, তাদের রাখাইনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে মাত্র। তাদের এনভিসি কার্ড (ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড) দিয়ে ফেরত নেওয়া হবে।’
চ্যান আইয়ে আরো বলেন, ‘রাখাইনের বাস্তুচ্যুত মুসলমানরা তাদের কিছু দাবি দিয়েছে। এসব দাবি মিয়ানমার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জানানো হবে। আমরা শুধু রাখাইনের পরিস্থিতি যে উন্নত করেছি তা তাদের জানিয়েছি।’
এ সময় মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের প্রধান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তাদের আলোচনায় হতাশা ব্যক্ত করেছে আলোচনায় অংশ নেওয়া রোহিঙ্গারা। তারা নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা, জাতিসত্তার স্বীকৃতি ছাড়া কোনোমতেই স্বদেশে ফিরতে রাজি নয়।
রোহিঙ্গারা জানায়, মিয়ানমারের নাগরিকত্বসহ বিভিন্ন প্রমাণ উত্থাপন করার পরও প্রতিনিধিদল তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। তাই এসব আলোচনা ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
এর আগে গত বুধবার সকালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা ও অর্থনীতি বিভাগের মহাপরিচালক চ্যান আইয়ের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছায়। এ সময় তাদের সঙ্গে আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের সাতজন কর্মকর্তা ছিলেন।