ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) সাবেক মহাপরিচালক ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ সামীম মোহাম্মদ আফজালের দাফনকার্য সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।

এর আগে তারুয়া গ্রামে সামীম মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা এহসানুল হক জিলানী।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজিমুল হায়দার, ইফার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মো. শাহ আলম, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ, ইফার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পরিচালক কাজী মো. জাবেদ হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান, তারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিছ হাসান, তারুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বাদল সাদির, মরহুমের ভাতিজা জি এম তানিম ও নাসিম দিদার প্রমুখ।

এ ছাড়া জানাজায় সীমিত পরিসরে এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা ও বিশিষ্ট আলেমরা অংশ নেন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবা ও ছেলের কবরের পাশে সামীম মোহাম্মদকে দাফন করা হয়।

এ সময় তাঁর কবরে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়। সংসদ সদস্যের পক্ষে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন আশুগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক শাহীন সিকদার।

ইফার সাবেক মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল গতকাল বৃহস্প‌তিবার রাত ১০টার দি‌কে রাজধানীর শ্যামলী সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তি‌নি দীর্ঘ‌দিন দূরারোগ্য ব‌্যাধি ক‌্যানসারে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন সামীম মোহাম্মদ।

আজ শুক্রবার বাদ ফজর ঢাকার মোহাম্মদপুরের জহুরি মহল্লার মসজিদ ও নারিন্দার মুসরীখোলা দরবার শরিফে সামীম মোহাম্মদের দুই দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সামীম মোহাম্মদ আফজাল ১১ বছর ইফার মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তিন দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। গত ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষে তিনি অবসরে চলে যান। এর আগে তিনি বিচার বিভাগে কর্মরত ছিলেন।