ভৈরবে মৃত প্রবাসীর পরিবারকে অর্থ সহায়তা

কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ও ভৈরব পরিষদ ভেনিসের উদ্যোগে মৃত প্রবাসী দানা মিয়ার পরিবারকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর দায় বাড়ির ইতালি প্রবাসী দানা মিয়ার বাবা দুখু মিয়া ও স্ত্রী তানিয়া বেগমের হাতে সহায়তার দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা তুলে দেন পৌর মেয়র আলহাজ ইফতেখার হোসেন বেনু ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য কবিরুজ্জামান নোমান, কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ও ভৈরব পরিষদ ভেনিসের প্রতিনিধি কাজী আব্দুল্লাহ-আল-মাছুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলহাজ ইফতেখার হোসেন বেনু কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ও ভৈরব পরিষদ ভেনিস এ দুটি সংগঠনের প্রশংসা করে বলেন, এমনভাবে যদি দেশ ও বিদেশের সংগঠনগুলো মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসে তাহলে মানুষের কষ্টগুলো অনেকটা লাঘব হবে।
কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ভেনিসের সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, দানা মিয়া অনেক কষ্ট করে বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি এখানে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পরিবারের জন্য কোনো কিছুই করতে পারেননি। মানবিক দিক বিবেচনায় ভেনিসে বসবাসরত কিশোরগঞ্জ জেলা ও ভৈরব পরিষদ ভেনিস সংগঠনের পক্ষ থেকে দানা মিয়ার পরিবারকে দুই লাখ ৯০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলো।
ভৈরব পরিষদ ভেনিসের সভাপতি কাজী আব্দুল্লাহ আল বাকী রোনাক বলেন, ‘গত ডিসেম্বর মাসে দানা মিয়া ইতালিতে আসেন। আসার পর মানসিক চাপে ব্রেইন স্ট্রোক করে প্রায় দুই সপ্তাহ অচেতন থাকার পর গত ৩০ মার্চ দুপুরে ইন্তেকাল করেন। পারিবারিক ভরণ-পোষণের স্বপ্ন নিয়ে বহু আশা-ভরসা লালন করে ইতালিতে আসা মরহুম দানা মিয়ার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা ইতালি প্রবাসীরা মর্মাহত। আমরা জেনেছি তার বাবা ভৈরবে রিকশা চালাতেন।’
‘এই ভয়াবহ করোনা মুহূর্তে যদিও আমরা নিজেরাই সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছি, তারপরও আমাদের ভেনিসের কিশোরগঞ্জ জেলা সমিতি ও ভৈরব পরিষদ ভেনিসের সংগঠনের সবার সার্বিক সহায়তায় দানা মিয়ার পরিবারকে এই সহায়তাটুকু করতে আমরা আনন্দিত। এর আগে দানা মিয়ার লাশ বাংলাদেশে পাঠাতে প্রায় চার লাখ টাকা সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্যয় করি আমরা।’ বলছিলেন কাজী আব্দুল্লাহ।