ভৈরবে করোনার উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৩

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো চারজন। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৩৩ জন। এ ছাড়া পুরাতন দুজনের আবারও প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮৩ জনে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৩ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পৌরশহরের কেবি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যান। তাঁর বয়স ছিল ৫৫ বছর। পরিবারের সদস্যরা জানান, এক সপ্তাহ ধরে তিনি জ্বরে ভুগছিলেন।
উপসর্গ নিয়ে ভোরে মারা যান জগন্নাথপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী। ১০ দিন ধরে তিনি জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
সকাল ৮টার দিকে মারা যান আরো এক বৃদ্ধ। তিনি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন।
অন্যদিকে, রাত দেড়টার দিকে ভৈরবপুর মধ্যপাড়ার এক ব্যবসায়ী মারা যান। তিনিও জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন বলে জানায় পরিবার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে, তাঁদের মৃত্যুর কারণ।
এদিকে, ঈদের পর আবারও ভৈরবে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন ও ভৈরব চেম্বারের যৌথ উদ্যোগে আজ শুক্রবার থেকে আগামী ২০ জুন শনিবার পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য এখানকার সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সময়ে ওষুধের দোকান ও কাঁচামালের দোকান ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। তবে ধান-চালের আড়তগুলো সকাল ১০টা থেকে ৪টা এবং পেঁয়াজ-রসুনের আড়ত সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা ও ভৈরব চেম্বারের সভাপতি আলহাজ মো. হুমায়ূন কবির।