ভৈরবে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৪২

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মো. নূরুল ইসলাম (৭০) নামের আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি শহরের গাছতলাঘাট এলাকার বাসিন্দা।
সাত-আটদিন যাবত জ্বর-সর্দিতে ভুগছিলেন নূরুল ইসলাম। গতকাল শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানায় পরিবার।
হাসপাতাল থেকে লাশ আসার পর স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাঁর বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। আর উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির লোকজনের উপস্থিতিতে সন্ধ্যায় তরুণ মাওলানাদের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর জানাজাসহ দাফন কাফন করে।
এদিকে গত শুক্রবার শহরের ভৈরবপুর মধ্যপাড়া এলাকায় উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যবসায়ী হাজি জসিম মিয়ার প্রতিবেদন পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে এখানে করোনা শনাক্ত হয়ে মারা গেলেন পাঁচজন।
অন্যদিকে গতকাল রাতে আসা ৩ জুন পাঠানো পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আরো ৪২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪২ জনে। এ ছাড়াও চারজন আক্রান্তের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ফলাফলও পজিটিভ এসেছে।
আজ রোববার সকালে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ডা. বুলবুল আহমেদ।
এদিকে ঈদের পর আবারও ভৈরবে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং মৃতের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন শুক্রবার থেকে আগামী ২০ জুন শনিবার পর্যন্ত ১৫ দিনের জন্য এখানকার সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এই সময়ে ওষুধ ও কাঁচামালের দোকান ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। তবে ধান-চালের আড়ৎ সকাল ১০টা থেকে ৪টা এবং পেঁয়াজ-রসুনের আড়ৎ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
এইসব তথ্য জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা। তিনি আরো জানিয়েছেন, নতুন শনাক্তের কারণে বেশ কিছু এলাকা লকডাউনসহ ওই এলাকার আশপাশের মানুষজনের চলাচল সীমিত করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে প্রতিদিন।