ভৈরবে ইলিশ শিকারের দায়ে পাঁচ জেলেকে জরিমানা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদী থেকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ শিকারের দায়ে পাঁচ জেলেকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অর্থদণ্ড করেন।
এর আগে আজ সকালে মেঘনা নদীর পৌর এলাকার কালিপুর, আগানগর ইউনিয়নের টুকচানপুর ও খলাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল মোতালেব, ফারুক মিয়া, মজলু মিয়া, আবুল কাসেম ও সিজান মিয়া নামের পাঁচ জেলেকে আটক করে উপজেলা মৎস্য বিভাগ পরিচালিত একটি দল।
ভৈরব নৌপুলিশের সহযোগিতায় অভিযানটি পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান। এ সময় নদীতে পেতে রাখা এক লাখ মিটার কারেন্টজাল এবং শিকার করা ১৫ কেজি মা ইলিশ ও জাটকা জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে বিচারকের উপস্থিতিতে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং মাছগুলো উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ছনছাড়া এতিমখানায় দেওয়া হয়।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মাছ শিকার নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ সময়ে যাঁরাই আইনভঙ্গ করবে, তারাই শাস্তির মুখোমুখি হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. লতিফুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ করা ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে নদী থেকে ইলিশ আহরণে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সে কারণে ভৈরবে এক হাজার জেলের প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে যারা আইন লঙ্ঘন করবে, তারা মৎস্য সংরক্ষণ আইনের ধারায় শাস্তি ভোগ করবে।’