বন বিভাগের অভিযানে ৯৬টি দেশীয় পাখি জব্দ

কিশোরগঞ্জ ও ভৈরবে অভিযান চালিয়ে দেশীয় প্রজাতির ৯৬টি পাখি জব্দ করেছে বন বিভাগের একটি আভিযানিক টিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমনের পাঁচ সদস্যের একটি টিম কিশোরগঞ্জ সদর ও ভৈরব বাজারে অভিযান চালিয়ে দেশীয় প্রজাতির ৯৬টি মুনিয়া, শালিক ও ঘুঘু পাখি জব্দ করে।
পাখিগুলো আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কোনো বনে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিদর্শক অসীম মল্লিক। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিদর্শক অসীম মল্লিকের নেতৃত্বে পরিচালিত ওই অভিযানে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিদর্শক নার্গিস সুলতানা, ফরেস্টার হাবিবুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান শেষে তাঁরা পাখি নিধনরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে অসীম মল্লিক জানান, ভৈরব বাজারের চকবাজার এলাকায় দেশীয় প্রজাতির পাখি ক্রয়-বিক্রয় হয়—এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ২১টি এবং বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরে অভিযান চালিয়ে আরো ৭৫টি দেশীয় প্রজাতির পাখি জব্দ করা হয়।
অভিযান চলাকালে পাখির ক্রেতা-বিক্রেতারা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি। অসীম মল্লিক জানান, এর আগেও কিশোরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক দেশীয় প্রজাতির পাখি জব্দ করে বনে অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পরিদর্শক আরো জানান, বন্যপ্রাণী হত্যা-খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার, দখলে রাখা বা শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিতের বিধান রয়েছে।
তা ছাড়া বাঘ বা হাতি মারা জামিন অযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধে ১২ বছর পর্যন্ত দণ্ডিত বা ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। দেশি পাখি বা পরিযায়ী পাখি হত্যা, শিকার, ক্রয়-বিক্রয়ে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। তিনি এ সময় পাখি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে জনগণের সচেতনতা প্রত্যাশা করেন।