পুলিশ প্রহরায় ধান কাটল ভৈরবের বিবাদমান দুই গ্রামের কৃষকরা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশ প্রহরায় ধান কাটল সেই বিবাদমান দুই গ্রামের কৃষকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত কয়েক হেক্টর জমির বোরো ধান পুলিশের উপস্থিতে কৃষকরা কেটে তাদের ঘরে তোলে।
গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া ও খলাপাড়া গ্রামে ধান মাড়াইকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহতসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। ভাঙচুরসহ লুটপাট হয় কয়েকশ বাড়ি-ঘরে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের করা পাঁচ মামলায় আসামি করা হয় সাত শতাধিক লোককে। ফলে গ্রেপ্তার আতংকে গ্রামের পুরুষরা সব পালিয়ে যায়। এ সময় বোরো ধানের ভরা মৌসুমে অকর্তন পড়ে থাকে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ফসল।
এ বিষয়ে গত ২৭ এপ্রিল মঙ্গলবার এনিটিভ অনলাইনে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এতে করে স্থানীয় কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের টনক নড়ে। মামলার আসামি ছাড়া কোনো নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করবে না মর্মে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হয় ওই এলাকায়। জানানো হয়, যাদের জমির ধান পেকেছে তারা ধান কেটে ফেলতে, প্রয়োজনে পুলিশ নিরাপত্তা দিবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের উপস্থিতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির ধান কাটে কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম জানান, ঘটনার খবর পেয়ে কৃষি বিভাগ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধান কাটার ব্যবস্থা করে। তিনি নিজে তদারকি করে প্রায় ১৫ হেক্টর জমির পাকা ধান কাটার ব্যবস্থা করেছেন।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন জানান, যারা মামলার আসামি নয় তাদের কোনো ভয় নেই। কৃষি বিভাগের অনুরোধে পুলিশের উপস্থিতি কৃষকরা নিরাপদে ধান কেটেছে। যতদিন জমিতে পাকা ধান থাকবে, ততদিন পুলিশ উপস্থিত থেকে ধান কাটতে সহযোগিতা করবে।