নির্যাতনের পর স্ত্রী হাসপাতালে, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বীর সিঞ্জুরী গ্রামে চম্পা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী স্বপন আলীর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে নির্যাতিত চম্পা ঘিওর থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই গৃহবধূ বর্তমানে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নির্যাতিত গৃহবধূর অভিযোগ, পারিবারিকভাবে ২০১০ সালে ঘিওর উপজেলার বীর সিঞ্জুরী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে স্বপনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। কিন্তু স্বপন জুয়ায় আসক্ত হওয়ায় পারিবারিক জীবনে নেমে আসে অশান্তি ও দুর্দশা। তাঁকে জুয়া খেলতে বারণ করায় প্রায়ই মারধরের শিকার হতে হয় তাঁকে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার মধ্যরাতে চম্পাকে বেদম মারধর করেন স্বপন। পরদিন রোববার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন এসে তাঁকে প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পারিবারিক জীবনে ওই গৃহবধূ তিন সন্তানের জননী।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্বপন আলী বলেন, শনিবার রাতে অসুস্থ শাশুড়িকে রেখে বেড়াতে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করেন তিনি। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেন।
স্বপনের দাবি, ‘তুচ্ছ এ ঘটনায় মামলা করে আমাকে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে।’
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, এই ঘটনায় চম্পা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।