ধষর্ণের শিকার স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, অভিযুক্ত কারাগারে

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত মুনছুর মিয়াকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলার ৪ নম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাসলিম আক্তার এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে অষ্টগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর এলাকা থেকে মুনছুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত মুনছুর মিয়া উপজেলার কাস্তুল ইউনিয়নে বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান জানান, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে যায় ওই কিশোরী। এ সময় মুনছুর মিয়া ও শেখ নজরুল ইসলাম ওই কিশোরীকে দড়ি দিয়ে বেঁধে হত্যার হুমকি দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ছুটে এলে তাঁরা পালিয়ে যান।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার হয়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর গত ২৫ জুন তার মা বাদী হয়ে মুনছুর মিয়া ও শেখ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর থেকে দুই অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘ আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে সেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। আমি অভাবের কারণে মেয়েকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় গিয়ে একটি বাসায় গৃহকর্মীর কাজ নিয়েছি। আমার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। ছুটিতে মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসি। মেয়েটি বাড়িতে একা থেকে স্কুলে লেখাপড়া করে। এ সুযোগে প্রতিবেশী মুনছুর ও সহযোগী নজরুল আমার কিশোরী মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে।’
এদিকে, সুবিচারের আশায় ছাত্রীর মা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানান। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি মীমাংসা না করে বরং উল্টো ওই ছাত্রী ও তার পরিবারের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে অভিযুক্তরা।
পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুর রহমান আরো বলেন, অভিযুক্ত অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’