আগামী ৮ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি আজ সোমবার মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে করোনা ইউনিট পরিদর্শন করেন। বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বলেন, করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরুর দিকে আমরা খুব জোরেসোরে করেছিলাম। এখন প্রথম ডোজ দেওয়া চলছে। আগামী ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে। এ নিয়ে আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।

ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, লকডাউন কার্যকর করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের ডিসি, এসপি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। লকডাউন কার্যকর করতে আমাদের অবশ্যই সচেতন হয়ে সরকারি নির্দেশনাগুলো মানতে হবে। যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, নতুন টিকার বিষয়ে গতকাল রোববার বেক্সিমকো ফার্মা জানিয়েছে, তারা সময় মতো টিকা সরবরাহ করতে পারবে।

ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। যেখানে করোনা ইউনিটের সেন্ট্রাল অক্সিজেন রয়েছে, সেখানে করোনা ইউনিট স্থাপন করা হবে। ওখানে আমরা সাতটি বেড নির্বাচন করেছি। বর্তমানে এই সাতটি বেডে সাধারণ রোগী রয়েছে। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে এখানে করোনা ইউনিট, সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ, হাইফোজেনাল ক্যানোলা ব্যবহার করতে পারে। মোট কথা, একটি আইসিইউতে যে সুবিধাগুলো থাকে, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটি চালু হবে।’

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ডা. হাসান ইমাম, হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ মিঞা এবং হাসপাতাল সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ডা. খুরশীদ আলম, মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আরশাদ উল্লাহসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।