চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুলশিক্ষার্থী নিহত

চট্টগ্রামের নাজিরহাট–খাগড়াছড়ি সড়কের পাইন্দং এলাকায় জিপের চাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে স্কুল থেকে ফেরার পথে দ্রুতগামী গাড়ির চাপায় তারা নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হয় আরেক শিক্ষার্থী।
ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার অধিক সময় গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটরসাইকেলও জ্বালিয়ে দেয় জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাইন্দং এলাকার একটি রাইস মিলের ধান বহনকারী একটি জিপকে তাড়া করেন হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য। এ সময় সড়কের পাশ ধরে হেঁটে যাওয়া তিন স্কুলশিক্ষার্থীকে চাপা দেয় গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো মিশু আকতার ও নিশা মনি। আহত শিক্ষার্থীর পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিদিন সড়কে গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি করে। হয়রানি থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাচ্ছিল ধানবাহী চাঁদের গাড়িটি। এ ঘটনার প্রতিবাদে নাজিরহাট-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
নিহত মিশু আকতারের চাচা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে মানুষকে হয়রানি করছে। এ কারণে প্রায় সময়ই নানা দুর্ঘটনা ঘটছে।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে এ সড়কে হাইওয়ে পুলিশের ক্যাম্প না রাখার ঘোষণা দেওয়ার পর জনতা শান্ত হয়।