চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় গ্রাহকের প্রায় চার কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ‘কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটি’ নামের একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার এনজিওটির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, অর্থ ফিরে পেতে ওই এনজিওর কার্যালয়ের সামনে চলছে গ্রাহকদের আহাজারি।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে টাকা নিয়েছে এনজিওটি। বাড়তি লাভের আশায় সেখানে টাকা দিয়ে এখন শত শত মানুষ পথে বসার উপক্রম হয়েছে। টাকা ফেরত পেতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছে তারা।

এদিকে, গ্রাহকদের তোপ এড়াতে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, উপজেলার ত্রিমোহনী বাজারে খাইরুল ইসলাম গত কয়েক বছর আগে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিয়ে কুসুমকলি পল্লী উন্নয়ন সোসাইটি নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর সঞ্চয়, এফডিআর ও ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১১টি শাখা অফিস খুলে নানা প্রলোভন ও অধিক হারে মুনাফা দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় চার কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। কাউকে কিছু না বলে দুসপ্তাহ আগে উধাও হয়ে যান নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলাম। বিষয়টি জানাজানি হলে টাকা ফেরত পেতে এনজিওটির কার্যালয়ের সামনে ভিড় করছে গ্রাহকরা।

ওই এনজিওটির এরিয়া ম্যানেজার লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমরা সব কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের সন্ধান ও তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শিবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।’

ওই এনজিও কর্মকর্তা বলেন, ‘এনজিওটি ১১টি শাখার মাধ্যমে সঞ্চয়, এফডিআর ও ঋণ কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু গত ৩ মার্চ থেকে হঠাৎ করে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খাইরুল ইসলামের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দুদিন পর খোঁজ নেওয়ার জন্য তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তাঁর স্ত্রী ও ভাই তাঁর বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। নির্বাহী পরিচালকের নিরুদ্দেশের খবর ধীরে ধীরে জানাজানি হয়ে গেলে গ্রাহকরা অফিসে ছুটে আসছে।

শিবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি।’

লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।