গোপালগঞ্জে করোনা রোগী বেড়ে ২১

গোপালগঞ্জে নতুন করে চারজন করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে ২১ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, নতুন শনাক্ত চারজনের বাড়ি কাশিয়ানী উপজেলার কাশিয়ানী সদর, সাজাইল ও মহেশপুর ইউনিয়নে। তাঁরা ঢাকা থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে কাশিয়ানীতে আসেন। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। ওই চারজনের নমুনা গত ১৫ এপ্রিল ঢাকায় পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানান সিভিল সার্জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে তিনজন, মুকসুদপুরে ১০ পুলিশ সদস্য, কাশিয়ানীতে চারজন, টুঙ্গিপাড়ায় একজন ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় তিনজন রয়েছে বলে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস জানিয়েছে। এদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে গোপালগঞ্জে মৃত্যুবরণকারী তিন নারী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠায়। শুক্রবার রাতে তাদের নমূনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে জানান সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ।
গত ১২ এপ্রিল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বুধপাশা গ্রামের গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (২০), ১৪ এপ্রিল টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধূ আসমা (৫০) ও ১৫ এপ্রিল মুকসুদপুর উপজেলার টিকারডাঙ্গা গ্রামের মন্দিরভিত্তিক স্কুলের শিক্ষিকা শিখা রানী ঠাকুর (৫২) মারা যান।
অন্যদিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জসীম উদ্দীন জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বসকষ্ট নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা বিভাগের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক গৃহবধূ (৩০) আজ শনিবার সকালে ভর্তি হয়েছেন।