গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় নিহত দুই নারীসহ তিনজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার জেলার সদর উপজেলার কাশিমপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রায়হান উদ্দিন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানার ডালাস সিটির মোজারমিল এলাকার জহিরের বাড়িতে ভাড়া বাসায় বোনের সঙ্গে থেকে স্থানীয় গ্রামীণ পোশাক কারখানায় চাকরি করত মোসা. শারমিন (১৬)। সে রংপুরের গঙ্গাচড়া থানাধীন নুহালী কচুয়া ফোটামারিপাড়ার সামসুল হকের মেয়ে। আজ সকালের নাস্তা শেষে ভিতর থেকে দরজা আটকিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘরের ভিতর অবস্থান করছিল শারমিন। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে ঘরের ভিতর আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে একই থানাধীন শিবরামপুর এলাকার মতিউর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কুড়িগ্রামের উলিপুর থানাধীন গ্যানদার আলগা এলাকার মৃত গফ্ফার আলীর মেয়ে ময়না খাতুন (২৩)। আজ সকাল ১০টার দিকে ময়নার বাসায় আসেন তার বড় ভাই। এ সময় ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করেও ময়নার কোনো সাড়া পাননি তার ভাই ও প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ময়নার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। উভয় ঘটনার পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

অপর দিকে, কালীগঞ্জ থানাধীন জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামে প্রবাসী মামার বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে বসবাস করতেন ফয়সাল মোড়ল (২২)। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ফয়সালকে ঝুলতে দেখে স্বজনরা। তাকে উদ্ধার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। নিহত ফয়সালের পরিবার জানায়, তিনি তার মামাতো বোনকে বিয়ে করতে চেয়েছলেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এদিকে ফয়সালের মামাতো বোনকে অন্যত্র বিয়ে দেয় বোনের পরিবার। এ নিয়ে হতাশায় ভুগচিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মামাতো বোনকে বিয়ে করতে না পেরে অভিমানে ফয়সাল আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।