কুলিয়ারচরে করোনা আক্রান্ত একজনের মৃত্যু

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি (৬৫) মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর খসরুর নেতৃত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একটি টিম পুলিশের সহায়তায় দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ওমর খসরু জানান, ১০ থেকে ১২ দিন আগে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। নমুনা প্রতিবেদনে করোনাভাইরাস পজেটিভ এলে তাঁকে নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তাঁর বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ির চলাচল সীমিত করে পরিবারের সদস্যের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
ওই ব্যক্তির দাফনের পর পরিবারের চার সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। আর আশপাশের ১০টি বাড়ির অধিবাসীদের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এটিই কুলিয়ারচরের প্রথম মৃত্যু। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির ছেলেমেয়েরা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করেন। কিছুদিন আগে তাঁরা বাড়িতে এসে ঘুরে যান। এর পর পরই মোস্তফা মিয়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হন। তবে আজ বাবার মৃত্যুতে তারা কেউ বাড়ি আসেননি।
অপরদিকে, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, গত ২১ এপ্রিল পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আজ সকালে তারা পেয়েছেন। ওই দিন মোট ২১ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে আরো একজন পুলিশ সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাকিদের প্রতিবেদন নেগেটিভ আসে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্য একজন কনস্টেবল। আগে থেকেই তিনি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। এ নিয়ে ভৈরব থানায় কর্মরত ১০ পুলিশ সদস্যের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
তবে প্রথম করোনা আক্রান্ত চাঁন মিয়া নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত পরশু মঙ্গলবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত ভৈরবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ জন। যার বেশিরভাগই চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী এবং পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত এখানে করোনাভাইরাসে কেউ মারা যাননি।