করোনায় নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিক, চিকিৎসক ও রাজনীতিকসহ ১৬৯ জন আক্রান্ত

রাজধানী ঢাকার পরই শিল্প ও বাণিজ্যনগরী নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ ছোবল পড়েছে। আজ বুধবার পর্যন্ত সাংবাদিক, চিকিৎসক ও রাজনীতিকসহ আক্রান্ত হয়েছে ১৬৯ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। নারায়ণগঞ্জে প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। লম্বা হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০৯ জন। নারায়ণগঞ্জ সদরে ৩৩ জন, বন্দর উপজেলায় ১৩ জন, সোনারগাঁও উপজেলায় দুজন, রূপগঞ্জ উপজেলায় চারজন ও আড়াইহাজার উপজেলায় আটজন।
করোনায় আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জের একজন সিনিয়র সাংবাদিকসহ তাঁর পরিবারের তিনজন আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসায় আইসোলোশনে আছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের একাধিক চিকিৎসক এবং এক চিকিৎসক পরিবারের সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত হয়। তাদের মধ্যে চাষাঢ়া বেলি টাওয়ারের একজন চিকিৎসক কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। অন্য চিকিৎসক ও নার্সরা রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপর দিকে একটি বাম রাজনৈতিক দলের জেলার শীর্ষ নেতা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিজ গৃহে আইসোলেশনে অবস্থান করছেন।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে করোনা পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর ও সিদ্ধিরগঞ্জে আলাদা দুটি ক্যাম্প করা হলেও সাধারণ মানুষ সেখানে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে পারছে না। গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন বসে থেকে অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছে।
পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে বেলা ১১টায় জামাল নামের এক ব্যবসায়ী নারায়ণগঞ্জ হাইস্কুল ক্যাম্পে গেলে সারা দিন বসিয়ে রাখার পর বিকেল ৪টায় তাঁকে বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। বাসায় গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্মার্ট কার্ড পাওয়ার অপেক্ষায় থাকা স্লিপ দিলে স্মার্ট কার্ডের স্লিপ তারা অগ্রাহ্য করে বলে জন্ম নিবন্ধন আনতে হবে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা দিতে গিয়ে এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় সাধারণ নাগরিকদের।