‘অন্য জেলার আক্রান্ত রোগী, নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়া’

‘এখন অনেক জেলাতেই যখন রোগী চিহ্নিত করেছি, তখন জানা গেছে যে, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছে।’ আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ কথা বলেন।
ডা. মীরজাদী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় যাদের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগ ঢাকা শহরের। ঢাকা শহরে শনাক্ত হয়েছে ৬২ জন। এরপর ১৩ জন রয়েছে নারায়গঞ্জের। আমরা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছি। সেখানে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যদিও বিভিন্ন জায়গায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় রোগী শনাক্ত হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, আগে যে ক্লাস্টারগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল যেমন, নারায়ণগঞ্জ, অনেক জেলাতেই যখন রোগী চিহ্নিত করেছি, তখন জানা গেছে যে, তারা নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছে। তাই আমাদের ঘরে থাকাটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা এখান থেকে বোঝা যায়।’
আইইডিসিআরের পরিচালক আরো বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৭ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৬১৮ জনের ও ঢাকার বাইরে ৪৭৯ জনের। গতকাল থেকে আমরা ১০৯টি বেশি পরীক্ষা করেছি। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ বছরের এক ব্যক্তি করোনার কারণে মারা গেছেন। নতুন করে কেউ সুস্থ হয়নি। তাই সুস্থ রোগীর সংখ্যা মোট ৩৩ জনেই রয়েছে। নতুন ১১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে ৭০ জন পুরুষ ও ৪২ জন নারী রয়েছে।’
মীরজাদী সেব্রিনা আরো বলেন, নতুন আক্রান্তের মধ্যে ১ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তিনজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে নয়জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন রয়েছেন।