থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতেই হবে : সুপ্রিম কোর্ট

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে এক বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে রায় দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আজ মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এ রায়কে দেশটির রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
আদালত জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে পুলিশ হাসপাতালের ভিআইপি কক্ষে থাকসিনের অবস্থানকে কারাদণ্ড ভোগ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। বিচারকদের মতে, তার গুরুতর অসুস্থতা ছিল না এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতালে থেকে শাস্তি ভোগ বিলম্বিত করেছেন।
রায় ঘোষণার পর ৭৬ বছর বয়সী থাকসিনকে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কারাগারের ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে থাকসিন সিনাওয়াত্রা বলেন, “আজ আমি হয়তো স্বাধীনতা হারালাম, কিন্তু দেশের ও জনগণের কল্যাণে ভাববার স্বাধীনতা এখনও আছে।”
থাকসিন ২০২৩ সালে ১৫ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসেন। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে তাকে আট বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, যা রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ন কমিয়ে এক বছর করে দেন। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি কখনো কারাগারে যাননি, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
আল জাজিরার ব্যাংকক প্রতিনিধি টনি চেং বলেন, “অনেকেই হতাশ হয়েছিল যে তিনি জেলখানায় এক রাতও কাটাননি। এবার এই রায়কে অনেকেই তার অপরাধের যৌক্তিক শাস্তি হিসেবে দেখবে।”
থাকসিনের রাজনৈতিক পরিবার গত ২৫ বছর ধরে থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে তাদের রাজনীতি।
গত ২৯ আগস্ট তার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে আদালত প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত করে। তিনি এক বছরেরও কম সময় দায়িত্বে ছিলেন।

এর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ২০০৬ সালে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ২০০৮ সালে দেশত্যাগ করেন। ২০২৩ সালে দেশে ফেরার পরও তিনি আগের মতো জনপ্রিয়তা ফিরে পাননি বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।