বিমান হামলায় হামাস মুখপাত্রকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

গাজা সিটিতে বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাস এখনও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট দিয়ে এ অভিযানে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি সেনা ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ওবায়দার আরও অনেক "অপরাধী সহযোগী"কে গাজায় সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে টার্গেট করা হবে। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গাজা সিটির ঘনবসতিপূর্ণ আল-রিমাল এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
শনিবারের (৩০ আগস্ট) এ হামলা গাজা সিটিতে পরিকল্পিত ইসরায়েলি অভিযানের অংশ হিসেবে চলমান বিমান হামলার মধ্যে ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছয়তলা একটি ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় একসঙ্গে পাঁচটি মিসাইল আঘাত হানে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি কমাতে নির্ভুল অস্ত্র, আকাশ পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। তবে হামাস দাবি করেছে, এ হামলায় বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত ও আহত হয়েছেন।
আবু ওবায়দা সবসময় মুখোশ ও ফিলিস্তিনি স্কার্ফ পরে টিভি ভাষণে হাজির হতেন এবং হামাসের মুখপাত্র হিসেবে ইসরায়েলবিরোধী প্রচারণা চালাতেন। শুক্রবার দেওয়া তার সর্বশেষ বক্তৃতায় তিনি সতর্ক করেছিলেন, গাজা সিটিতে হামলা চালালে ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিণতি হবে হামাস যোদ্ধাদের মতোই।

গাজা সিটিতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের পূর্ণ সামরিক অভিযান শুরু হলে এটি ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষ ও ইসরায়েলি জিম্মিদের জন্য "বিপর্যয়কর পরিণতি" বয়ে আনবে। ইতোমধ্যেই শহরের ৯০ শতাংশের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, স্বাস্থ্যসেবা ও পানি-স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।