সংঘর্ষের মধ্যেই মিয়ানমারে নির্বাচন : প্রথম ধাপে এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ভোট

মিয়ানমারে চলছে সংঘাত, এরই মধ্যে সামরিক জান্তা সরকার আসন্ন ডিসেম্বরে মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রথম ধাপে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ভোট হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সামরিক সরকার জানিয়েছে, আগামী ২৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন ধাপে ধাপে অনুষ্ঠেয় হবে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই নির্বাচনকে তারা সেই সমস্যার সমাধান হিসেবে দেখাচ্ছে।
তবে দেশটির বিশাল এলাকা এখনো সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। জাতিসংঘের একজন বিশেষজ্ঞ এই নির্বাচনকে একটি ‘প্রতারণা’ বলে বর্ণনা করেছেন, যার উদ্দেশ্য হলো সামরিক শাসনকে আড়াল করা। দেশের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি এখনও কারাগারে আছেন।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম ধাপে মিয়ানমারের ৩৩০টি শহরের মধ্যে ১০২টিতে ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে রাজধানী নেপিডোর সব শহর এবং বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ এলাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে যেসব অঞ্চলে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বিরোধীদের যুদ্ধ চলছে, সেখানে খুব সীমিত পরিসরে ভোট হবে।
উদাহরণস্বরূপ, রাখাইন রাজ্যে ১৭টি শহরের মধ্যে মাত্র ৩টিতে ভোট হবে। একইভাবে সাগাইং অঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় ভোট হবে। নির্বাচনের এই সমালোচনা করলে বা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান চালু করা হয়েছে।

সামরিক জান্তা এখনো পরবর্তী ধাপের ভোটের তারিখ ঘোষণা করেনি বা কোন কোন শহরে ভোট হবে তাও নিশ্চিত করেনি।
২০২০ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে সু চির দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু সামরিক বাহিনী ভোটার জালিয়াতির ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।