ভারতে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে গণধর্ষণের শিকার তরুণী, আটক ২

ভারতের বিহার রাজ্যের গয়া জেলায় ‘হোম গার্ড’ নিয়োগের শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েন এক ২৬ বছর বয়সী তরুণী। এরপর তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরেই গণধর্ষণ করা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়. গত ২৪ জুলাই গয়ার বিহার মিলিটারি পুলিশ মাঠে হোম গার্ড নিয়োগের জন্য শারীরিক পরীক্ষা চলছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার সময় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
এরপর নিয়োগ কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত ঘটনাস্থলে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তরুণী অভিযোগ করেন, তিনি অজ্ঞান অবস্থায় থাকার সময় অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা কয়েকজন লোক তাকে ধর্ষণ করে।

তার এই অভিযোগের পর বোধ গয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ সংস্থা (এসআইটি) এবং ফরেনসিক সংস্থা কাজ করছে। মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসআইটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিনয় কুমার ও টেকনিশিয়ান অজিত কুমারকে গ্রেপ্তার করে। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন।
এই ঘটনা বিহার রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। লোক জনশক্তি পার্টির (রাম বিলাস) সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
পাসওয়ান বলেছেন, আমি দুঃখিত, আমি এমন একটি সরকারকে সমর্থন করছি যেখানে অপরাধ খুব বেড়ে গেছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরি, না হলে এর ফল খুবই খারাপ হবে। এটা এখানকার মানুষের জীবন নিয়ে খেলা হচ্ছে। খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ডাকাতি, চুরি এবং ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ রাজ্যে একের পর এক ঘটছে।