বাবার মুক্তির জন্য প্রচারাভিযানে ইমরান খানের দুই ছেলে

কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন ব্রিটেনে থাকা তার দুই ছেলে। এই অভিযানের অংশ হিসেবে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেলের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। খবর ডনের।
গত মে মাসে প্রথমবার জনসমক্ষে বাবার কারাবন্দি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন ইমরান খানের ছেলে সুলেইমান খান (২৮) ও কাসিম খান (২৬)। এর আগে এই মাসের শুরুতে ইমরানের বোন আলিমা খান জানিয়েছিলেন, সুলেইমান ও কাসিম পাকিস্তানে আসার আগে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। যা তাদের বাবার মুক্তির আন্দোলনেরই অংশ।
২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে কারাগারে আছেন ইমরান খান। তিনি একটি দুর্নীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আরও বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রধান উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রেনেল প্রকাশ্যে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে তিনি লেখেন, ক্যালিফোর্নিয়ায় সুলেইমান ও কাসিমের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তিনি তাদের ‘শক্ত থাকতে’ বলেছেন। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ রাজনৈতিক বিচার দেখে বিরক্ত। আপনারা একা নন।

ইমরান খানের ছেলেরা পাকিস্তানি আমেরিকান চিকিৎসক ড. আসিফ মাহমুদের সঙ্গেও দেখা করেছেন। তিনিও গ্রেনেলের সঙ্গে ইমরান খানের ছেলেদের একটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং তাদের সাহসের প্রশংসা করেছেন। তিনি গ্রেনেলের ‘ন্যায়বিচার ও নীতির পক্ষে দাঁড়ানোর’ প্রশংসা করেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গ্রেনেল ‘ফ্রি ইমরান খান’সহ বেশ কিছু বিবৃতি ও টুইট করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। বিশেষ করে দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও ইমরান খানের কারাবন্দি হওয়ার বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ নিয়ে।
পাকিস্তান সরকার ইমরান খানের ছেলেদের এই বিষয়টিতে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির আইন ও বিচার প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার আকিল মালিক জানিয়েছেন, দুই ভাই ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ায় তারা আইনত পাকিস্তানের স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে।