মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যুতে বৈঠক করবে, যুক্তরাষ্ট্র। সাম্প্রতিক মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পঙ্গু হয়ে গেছে বলে গর্ব প্রকাশের পর বুধবার (২৫ জুন) নতুন করে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার কথা জানান তিনি।

নেদারল্যান্ডসে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইরান) দীর্ঘ সময় ধরে বোমা তৈরি করবে না। (মার্কিন) হামলাগুলো (পারমাণবিক) কর্মসূচিকে কয়েক দশক পিছিয়ে দিয়েছে।’ এ ছাড়া তিনি যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন, তা "খুব ভালোভাবে" চলছে বলেও জানান।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল ও ইরান উভয়ই ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। ইরানের সাথে ‘আগামী সপ্তাহে’ আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা হয়তো একটা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারি। আমি জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, তাদের (ইরান-ইসরায়েল) একটা যুদ্ধ হয়েছে, তারা যুদ্ধ করেছে, এখন তারা তাদের জগতে ফিরে যাচ্ছে। আমার চুক্তি আছে কি নেই, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) বলেছেন, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরতে ইচ্ছুক, তবে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ‘তাদের বৈধ অধিকার’ এবং তারা এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।

তবে অভূতপূর্ব মার্কিন হামলায় ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার জন্য কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচিকে কয়েক ‘দশক’ পিছিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যে সেই দাবির প্রতি সন্দেহ প্রকাশ পেয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, হামলার ফলে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়ে যাতে পারে।

গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুদ্ধবিরতি চুক্তির আগে ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধ চলাকালে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে। ইরানও তাদের আঞ্চলিক শত্রু দেশটির ওপর ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্রের নিক্ষেপ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রের সমর্থনে লড়াইয়ে যোগ দেয় এবং বিশাল বাঙ্কার-বাস্টার বোমা দিয়ে ইরানের দুটি পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানে।