ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ৫৩৮ সদস্য স্থানীয় সময় আজ সোমবার ভোট দেবেন। আর এই ভোটেই ঠিক হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাগ্য।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, ১৯ ডিসেম্বর, অর্থাৎ আজ সোমবার নির্বাচকদের (ইলেকটর) ভোটদানের দিন। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে ইলেকটোরাল কলেজের প্রতিনিধিরা একজোট হবেন। প্রত্যেক ইলেকটর দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেবেন। মার্কিন কংগ্রেস আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভোট গণনা করবে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ভোটগণনা শেষে মার্কিন নির্বাচনের ফল চূড়ান্ত হবে। আর ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসবেন ২০ জানুয়ারি।
স্থানীয় সময় ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক অব কলম্বিয়ায় বিজয়ী দল ইলেকটর নির্বাচন করেছে। এই ৫৩৮ ইলেকটরই আজ ভোট দেবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ পপুলার ভোটে (জনগণের ভোট) এগিয়ে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। ১৮৭৬ সালের পর থেকে মার্কিন বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে পরাজিত প্রার্থীর এত পপুলার ভোট বেশি পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। হিলারি ক্লিনটন পেয়েছেন ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ পপুলার ভোট। অন্যদিকে নির্বাচনে জয়ী ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৬ দশমিক ২ শতাংশ পপুলার ভোট।
বিপুল ভোটে জয়ের কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেও এমন দাবি সঠিক নয়। হিসাব অনুযায়ী ৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ ইলেকটোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। ১৮০৪ সালে মার্কিন নির্বাচনে আধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করার পর থেকে অনুষ্ঠিত ৫৪টি মার্কিন নির্বাচনের মধ্যে ইলেকটোরাল ভোট পাওয়ার হিসেবে ট্রাম্প ৪৪তম।
তবে সাম্প্রতিকতম রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ২০০০ ও ২০০৪-এর নির্বাচনে পাওয়া ইলেকটোরাল ভোটের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি।
জর্জ ডব্লিউ বুশের সঙ্গে আরেকটি ক্ষেত্রে মিল আছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। জর্জ ডব্লিউ বুশও পপুলার ভোট কম পেয়েছেন। ট্রাম্পের পপুলার ভোটের ব্যবধান আরো বেশি।