রোহিঙ্গা নির্যাতন ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’র শামিল

মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা তা মানবতাবিরোধী অপরাধ হতে পারে।
গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতিও দিয়েছে ওই সংস্থা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করতে মিয়ানমার সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে সহিংসতা হচ্ছে তা মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।
অভিযোগ উঠেছে চলতি মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশ রাখাইনে অভিযান চালাচ্ছে। এতে নিহত হচ্ছে বহু রোহিঙ্গা। আর নির্যাতিত রোহিঙ্গারা প্রাণভয়ে আশ্রয় নিতে প্রবেশ করছে প্রতিবেশী বাংলাদেশে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ জানিয়েছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বাড়ি থেকে পালিয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গাদের গ্রাম।
মিয়ানমারের সরকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘সন্ত্রাসী’ খুঁজতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে সেখানে। আরাকান এলাকায় বিদেশি সাংবাদিক প্রবেশ করাও নিষিদ্ধ করে দিয়েছে দেশটির সরকার।
২০১২ থেকে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত। এদের অনেকেই নদী পেরিয়ে পালিয়ে যায়। আর অনেকেই শিকার হয় পাচারের।
গত আগস্ট মাসে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সংঘাত কীভাবে কমানো যায় তা নিয়ে একটি কমিটিকে কাজ করার আহ্বান জানান। ওই কমিটির প্রধান ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
কফি আনান রাখাইনের সহিংসতা নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন।