যুক্তরাজ্যে লেবার দলের ভোটে আস্থাহীন জেরেমি করবিন

যুক্তরাজ্যের বিরোধী লেবার দলের এমপিদের আস্থা ভোটে পরাজিত হয়েছেন দলটির প্রধান জেরেমি করবিন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ভোটে মাত্র ৪০ লেবার এমপির সমর্থন পেয়েছেন তিনি। করবিনের বিরুদ্ধে পড়েছে ১৭২ ভোট। তবে পদত্যাগের কথা নাকচ করেছেন তিনি।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার গোপন ব্যালটে পার্লামেন্টের লেবার এমপিরা জেরেমি করবিনের ওপর আস্থা ভোট দেন। মোট চারটি ভোট নষ্ট হিসেবে গণ্য করা হয়। আর ১৩ লেবার এমপি ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এর পরই বিপুল ব্যবধানে দলের আস্থা হারান করবিন।
লেবার দল থেকে নিশ্চিত করা হয়, জেরেমি করবিনের ওপর কোনো পার্লামেন্টারি লেবার পার্টির (পিএলপি) সদস্যদের আস্থা নেই।
অবশ্য দলের এমপিদের আস্থাহীনতার পরও পদত্যাগ করবেন না বলে জানান জেরেমি করবিন। তিনি দাবি করেন, গত বছর তিনি বিপুল ভোটে দলের নেতৃত্ব পান। পদত্যাগ করলে তাঁর সমর্থকদের বিশ্বাস ভঙ্গ করা হবে।
জেরেমি করবিন আরো বলেন, গত সপ্তাহের গণভোটের পর দেশ বড় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন। অর্থনীতি ও জীবনযাত্রার মানে হুমকি বাড়ছে। ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যবাসী বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরো দাবি করেন, সরকারে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মন্ত্রীদের মধ্যে ব্রেক্সিট বিষয়ে কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। ব্যয় কমানো ও কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
লেবার দলের প্রধান জেরেমি করবিন মনে করেন, যুক্তরাজ্যের সরকারের এমন অবস্থায় যথেষ্ট করার আছে তাঁদের। মানুষের মধ্যে একতা আনতে হবে তাঁদেরই। আর এ জন্য দলের সবাইকেই এক থাকতে হবে। নয় মাস আগে দলের প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই জীবনযাত্রার মান নিয়ে বরাবরই নিজেকে সবর বলে দাবি করেন জেরেমি করবিন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার গণভোটে ইইউর পক্ষে ছিলেন জেরেমি করবিন। ইইউর থাকার পক্ষে যথেষ্ট প্রচারে অংশ নেন তিনি। তবে গণভোটে ব্রেক্সিটের (ইইউয়ে যুক্তরাজ্যের না থাকা) জয়ের পর জেরেমি করবিনের অবস্থান নিয়ে দলের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। লেবার দলের এমপিরা তাঁর জন্য আস্থা ভোটের দাবি তোলেন। তবে আস্থা ভোটের আগে নিজে থেকেই পদত্যাগ করার বিষয়টি উড়িয়ে দেন করবিন।