মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁর বিরোধীদের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শিকাগোর এই সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অনুষ্ঠেয় ট্রাম্পের একটি শোভাযাত্রা বাতিল করা হয়েছে। 

বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার শিকাগোতে অবস্থিত ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাম্পের শোভাযাত্রা হওয়ার কথা ছিল। তবে এটি শুরুর কয়েকঘণ্টা আগেই ট্রাম্পের বিরোধী কয়েকশ ব্যক্তি সেখানে অবস্থান নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে অবস্থান নেওয়া ট্রাম্পের সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। 

ট্রাম্পের ক্যাম্পেইন দলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা শোভাযাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প শিকাগো পৌঁছেছেন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তিনি আলোচানা করেছেন। জমায়েত হওয়া ১০ হাজারের বেশি মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি আজকের আয়োজন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী সময়ে শোভাযাত্রার দিন তারিখ জানানো হবে।

তবে শিকাগো পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শোভাযাত্রা বাতিলের জন্য ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। 

ইলিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের সময় ট্রাম্পের সমর্থকরা তাঁর পক্ষে স্লোগান দেয়। অপর দিকে বিরোধীদের অনেককে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বিরোধীরা ট্রাম্পকে বর্ণবাদী বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে দেশে বিভক্তি ছড়ানোর জন্যও তাঁকে দায়ী করা হয়। 

বিবিসি জানিয়েছে, জমায়েত হওয়া ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। একবার ট্রাম্প সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে পতাকা নিয়ে টানাটানি করতে দেখা যায়। এক ট্রাম্প বিরোধীকে টেনে হিঁচড়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। হেলিকপ্টার থেকে নেওয়া ভিডিওতে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশকে তৎপর দেখা যায়। 

ঘটনার পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বক্তৃতায় ঘৃণা ছড়ানোর কথা অস্বীকার করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি এমন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছি যাঁদের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ আছে। দুই পক্ষের মধ্যেই ক্ষোভের প্রকাশ হতে দেখা গেছে। আর শোভাযাত্রা বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি ভালো ও বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত বলে তিনি মনে করেন।