উত্তর কোরিয়ার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসংঘের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে চীন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর এমন পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ার বিবিসিকে বলেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর প্রস্তাবিত নিষেধাজ্ঞাটি হবে গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কড়া।

বিবিসি জানিয়েছে, কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হলে জাতিসংঘের কোনো সদস্য রাষ্ট্র থেকে উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া বা দেশটি থেকে আসা সব কার্গো পরীক্ষা করে দেখা হবে। এ ছাড়া অবৈধ পণ্য বহন করছে এমন সন্দেহ হলে বিশ্বের যেকোনো বন্দরে উত্তর কোরিয়ার কোনো জাহাজ আটকে দেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার হালকা আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হবে। আর বিমান বা রকেটের কোনো জ্বালানি উত্তর কোরিয়াকে কিনতে দেওয়া হবে না।

চীন উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডের আপত্তি জানালেও আগে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুটা নমনীয় ছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রস্তাবে দেশটি সমর্থন দিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি সপ্তাহ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের ওপর জাতিসংঘে ভোট হবে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি সামান্থা পাওয়ার বলেন, এই প্রথম উত্তর কোরিয়ায় যাওয়া এবং সেখান থেকে আসা প্রতিটি কার্গো পরীক্ষা করে দেখা হবে।

জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের ৯০ শতাংশই চীনের সঙ্গে। নিষেধাজ্ঞায় এই বাণিজ্য বন্ধের কোনো কথা নেই।

চলতি মাসে উত্তর কোরিয়া চারটি বিভিন্ন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। আর গত জানুয়ারি মাসে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। উভয় কার্যক্রমই জাতিসংঘের নির্দেশের স্পষ্ট লঙ্ঘন।