বিকেলের খাবারে ‘রক্তের সসেজ’ আর ‘পিঁপড়ার চাটনি’!

বিকেলে কী খান আপনি? চা-বিস্কুট, শিঙ্গাড়া, নুডলস অথবা মুড়ি চানাচুর। অনেকে আবার স্যুপ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ধরনের হালকা খাবারও পছন্দ করেন। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয়, বিকেলের খাবারে থাকবে রক্তের সসেজের সঙ্গে লাল পিঁপড়ের চাটনি। আর সবশেষে হাতির বর্জ্যে মেশানো কফি! বমি আসছে কি? কিন্তু জেনে নিন, অনেক দেশে বিকেলে এসব খাবারই খাওয়া হয়। চলুন দেখে আসি বিভিন্ন দেশের খাবারের বৈচিত্র্য।
লাল পিঁপড়ের চাটনি : ভারতের ছত্তিশগড়ের উপজাতিরা সাধারণত বিকেলে কোনো ভাজির সঙ্গে লাল পিঁপড়ার চাটনি খায়। লাল পিঁপড়া আর এর ডিম সেদ্ধ করে নানা রকমের মসলা মিশিয়ে বানানো হয় এই টক-ঝাল স্বাদের চাটনি।
রক্তের সসেজ : ভারতের নাগাল্যান্ডের জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার রক্তের সসেজের পোশাকি নাম ‘ জুমা’। এটি তৈরি করা হয় চামরি গাই-এর রক্ত দিয়ে। রক্ত জমাট বাঁধার পর এটি পরিবেশন করা হয় সসেজের আকারে।
হাতির বর্জ্যে মেশানো কফি : থাইল্যান্ডের সমাজব্যবস্থায় হাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র প্রাণী হিসেবে স্বীকৃত হাতিকে খাওয়ানো হয় কফি গাছ। আর বর্জ্য হিসেবে বেরিয়ে আসা ওই কফি বীজে বানানো কফির দাম থাইল্যান্ডে আকাশছোঁয়া।
কুমিরের মাংস ভাজি : ভারত মহাসাগরে অবস্থিত আফ্রিকা মহাদেশের দ্বীপরাষ্ট্র মরিশাসে শিকারি নিজেই খাবারে পরিণত হয়। দেশটির অনেক রেস্তোরাঁয় বিকেলের খাবারের টেবিলে বসে অর্ডার দিলেই পাবেন কুমিরের মাংসের সুস্বাদু কোনো ডিশ।
গাধার মাংস : গাধা শুধু বোঝাই বয়ে যাবে? আর কোনোভাবে মানুষের সেবায় লাগবে না? আলবৎ লাগবে। ইতালির দক্ষ রাঁধুনিরা গাধার মাংস দিয়ে বানায় একটি বিশেষ খাবার ‘সুমারো’। আর সেটা চেটেপুটে খেয়েও নেন নানা দেশের মানুষ।