সান্তা-বান্তার কৌতুক বন্ধে ব্যবস্থা নেবেন আদালত

কারো মন খারাপ? খুলে বসলেন সান্তা-বান্তার কৌতুকের ওয়েবসাইট। আর এ দুই বন্ধুর নানা কাণ্ড-কীর্তি হয়ে উঠল মন খারাপের দাওয়াই। নিমেষেই আবার মন ভালো। কিন্তু আগামী দিনগুলোতে হয়তো আর কৌতুক করতে দেখা যাবে না সান্তা-বান্তাকে।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা জানিয়ে দিয়েছেন এমনটিই। সম্প্রদায়বিদ্বেষী চুটকি আটকাতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিশেষ তৎপরতা দেখিয়েছে বলে জানায় টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কয়েক দিন আগে আদালতে একটি আবেদনে দিল্লি শিখ গুরুদুয়ারা পরিচালন কমিটি জানায়, মূলত পাঞ্জাব, বিহার ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষকে নিয়ে অনেক রকম ঠাট্টা চালু আছে, যা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আরো বেশি মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু দেশের যুবসমাজে এই ধরনের জাতিবিদ্বেষী ঠাট্টা, কৌতুক চালু থাকলে, তা জাতীয় সংহতির পক্ষে ক্ষতিকারক। এসব অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বে তৈরি ডিভিশন বেঞ্চ আবেদনকারী আইনজীবী হরবিন্দ চৌধুরী ও আর এস পুরির কাছে এই কৌতুক চালাচালি আটকানোর উপায় জানতে চান। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই বিচারকরা পরামর্শ জমা দিলে কৌতুক আটকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন আদালত।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে হারভিন্দর চৌধুরী নামের একজন শিখ উকিল সুপ্রিম কোর্টে এ মামলা করেন। তাঁর মতে, এই জোকসগুলোর মাধ্যমে সবার কাছে অপমানিত হতে হয় শিখ সম্প্রদায়কে।