ভালো আচরণের জন্য মুক্তি, দুই মাস পরই ফের খুন !

শিশু অপহরণ ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ বছরের এক কিশোরকে ভালো আচরণের জন্য দুই মাসের মধ্যেই সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর তিন মাসের মাথায়ই আবার খুন করেছে ওই কিশোর। ভারতের দিল্লিতে দ্বিতীয় খুনের ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে এক শিশুকে অপহরণ ও হত্যা করে ১৭ বছর বয়স্ক কিশোর। এর দুই মাসের মধ্যেই ভালো আচরণের জন্য কিশোর সংশোধনাগার থেকে সে মুক্তি পায়। তবে গত সোমবার দক্ষিণ দিল্লির বি কে দত্ত কলোনিতে এক নারীকে হত্যার জন্য তাকে দায়ী করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোর সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মিথিলেশ জৈনকে (৬৫) হত্যা করে তাঁর বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও কিছু অর্থ লুট করে।
জানা গেছে, এক বন্ধুকে খুঁজছে এমন ভান করে ওই কিশোর জৈনকে দরজা খোলায়। পরে পানি খাওয়ার নাম করে সে ঘরে ঢোকে। ওই নারীর পেছনে পেছনে বাড়ির ভেতরে গিয়ে তাঁকে হত্যা করে ওই কিশোর।
পুলিশের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, লুট করা মোবাইলে কল দিয়ে ওই কিশোরকে ধরা হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রথম দেখায় মনে হয়েছিল, জৈন স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছে। পরে জানা যায়, তাঁকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ তদন্তে খুঁজে পায়, গত বৃহস্পতিবার জৈনের বাড়ি থেকে লুট হওয়া একটি মোবাইল দিয়ে ওই কিশোর কল দিয়েছে। পরে ফরিদাবাদ এলাকায় ওই কিশোরের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বান্ধবীকে নিয়ে বদরপুরের ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে ওই ১৭ বছর বয়সী কিশোর। শিশুটির বাবা ৬০ হাজার রুপি দিতে ব্যর্থ হলে তাঁকে হত্যা করে ওই কিশোর। পরে ২১ নভেম্বর ওই কিশোরকে ভালো আচরণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করে মুক্তি দেওয়া হয়। জানা গেছে, একটি জনপ্রিয় নাচের রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণের জন্য ওই পরিমাণ অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করে ওই কিশোর ও তার বান্ধবী।
পুলিশ জানিয়েছে, টিভি অনুষ্ঠানের বেশ ভক্ত ওই কিশোর। গত সোমবারের খুন ও লুটের পেছনেও টিভি অনুষ্ঠানই দায়ী বলে মনে করেন তাঁরা।