‘বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের এখন স্বর্ণযুগের সম্পর্ক’

‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে স্বর্ণযুগের সম্পর্ক বিরাজ করছে। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়া এখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাধ্যমে এক নতুন দিগন্তে এসে দাঁড়িয়েছে।’ তিন দিনের সফরে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় এসে আজ শুক্রবার এ কথা বলেন ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক দুই দেশের পক্ষেই শুভ। এ ছাড়া তিনি সন্ত্রাস দমন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।’ হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছেন। সেই নীতি মেনেই বাংলাদেশের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। বাংলাদেশে কোনো রকম সন্ত্রাসবাদকে আর প্রশ্রয় দিচ্ছে না হাসিনা সরকার। বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে শেখ হাসিনা সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’
মোয়াজ্জেম আলী বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের যেসব অপরাধী লুকিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল আজ তাদের ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ আজ ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপরও জোর দিয়েছে।
হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সড়ক, রেল, সমুদ্র এবং আকাশপথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করার ওপর জোর দিয়েছে হাসিনা সরকার। একইসঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর কাছে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরকে ব্যবহারের সুবিধার্থে কনসোর্টিয়াম গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ তিনি বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বহমান নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকার জয়েন্ট বেসিন ম্যানেজমেন্ট প্রতিস্থাপন করতে চায়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের নতুন বাঁধন জোরদার করতে আগ্রহী।’