কম্পিউটারের সাথে সাথে বেশি বই পড়া উচিত : শাজাহান খান

রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতায় এসে বইমেলায় ঘুরে গেলেন বাংলাদেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। মন্ত্রী কলকাতা এসেছিলেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে। কূটনীতির ব্যস্ত সময়সূচির মধ্যে সুযোগ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতে আসেন তিনি।
কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে এসে শাজাহান খান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন। মন্ত্রী বলেন, ‘কলকাতা বইমেলায় এসে আমি মুগ্ধ। প্রথমেই ধন্যবাদ জানাব বাংলাদেশ সরকারকে। কারণ, কলকাতার এই আন্তর্জাতিক বইমেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নটি আমাদের ঐতিহ্যবাহী বর্ধমান হাউসের আদলে তৈরি করার জন্য। যা দেখে ভীষণ ভালো লাগছে।’
শাজাহান খান আরো বলেন, ‘কলকাতার বাংলাদেশ একাডেমি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির দিক থেকে যে ভূমিকা রেখেছে তা এক কথায় প্রশংসার দাবি রাখে। আমি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের ৩২টি স্টল ঘুরে দেখেছি। এখানে প্রচুর দর্শক ভিড় করেছেন। বাংলাদেশের বই কিনছেন। যা দেখে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
মন্ত্রী জানান, কলকাতায় বাংলাদেশের নানা ধরনের বই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় বাঙালির যে জাতীয়তাবাদ নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিল, বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বাঙালির সেই জাতীয়তাবাদের চেতনাকে নতুন করে মাত্রা দিয়েছে। একটা সময় বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আদর্শকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। মহাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সেই শক্তি আজ ব্যর্থ হয়েছে।’
শাজাহান খান আরো বলেন, ‘আমি কলকাতায় মূলত দুটি কাজ নিয়ে এসেছি। প্রথম কাজ হলো, আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা জাহাজ নিয়ে কলকাতায় এসে কলকাতা বন্দরে যে বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়েন সেসব সমস্যা যাতে আগামী দিনে না হয় সেই ব্যাপারে কথা বলতে। আগামীকাল শুক্রবার আমি কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’
‘দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, ভারত সেবাশ্রম সংঘের আয়োজনে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকব’- যোগ করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, জাতীয়তাবাদের উন্মেষ নিয়ে বিভিন্ন লেখক-লেখিকার লেখা পাঠকদের আরো বেশি করে পড়া উচিত। পাশাপাশি এখনকার প্রজন্মকে কম্পিউটারের সাথে সাথে আরো বেশি করে বই পড়া উচিত। কারণ, বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। তাই আমিও সুযোগ পেয়ে এখান থেকে বেশ কিছু বই কিনে ফেলেছি।’
কলকাতা বইমেলার তৃতীয় দিনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল যথেষ্ট। লেখক হুমায়ূন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, ইমদাদুল হক মিলনসহ বিভিন্ন লেখকের বইয়ের চাহিদাও ছিল যথেষ্ট।